,

ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে প্রাইভেট হাসপাতাল :: শহরে মুন মেডিসিন কর্নারকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা

জুয়েল চৌধুরী : হবিগঞ্জ শহরে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে ডায়াগনষ্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক। এর অধিকাংশতেই নেই অভিজ্ঞ ডাক্তার, কিংবা বৈধ কাগজপত্র। তবুও চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে মানুষকে আকৃষ্ট করে দালালদের মাধ্যমে তাদের কিনিকে নিয়ে চিকিৎসার নামে গলাকাটা অর্থ আদায় করছে। এমনকি তাদের ক্লিনিকের ভেতরে থাকা ফার্মেসী থেকে ওষুধ ক্রয় করতেও অতিরিক্ত দাম নেয়া হচ্ছে। গত কিছুদিন আগে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্যবিভাগ সাড়াশি অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু অবৈধ ক্লিনিককে জরিমানাসহ বন্ধ করে দেয়। কিছুদিন যেতে না যেতেই কতিপয় অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে এসব ক্লিনিক অন্যনামে খুলে চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছে। যার কোনোটাতেই নেই লাইসেন্স বা কাগজপত্র। বারবার ভ্রাম্যমান আদালত তাদের জরিমানা করার পরও তাদের লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না।
খবর নিয়ে জানা গেছে, গ্রামগঞ্জ থেকে আসা রোগীরা সদর হাসপাতালে আসার সাথে সাথেই তাদের কিছু নিয়োজিত দালালরা অজুহাত দেখিয়ে হাসপাতাল থেকে রোগীদেরকে সরিয়ে এসব ক্লিনিকে নেয়া হয়। এরপর দরাদরি করে বলে টাকা পরে দিলেও চলবে, আগে রোগী বাচুঁক। কিন্তু দেখা যায়, রোগী ভর্তি করার পর ছাড়পত্র নেয়ার সময় সিজার ও ওষুধসহ ৩০-৪০ হাজার টাকা আদায় করা হয়। অন্য রোগীদেরকেও ক্ষেত্রেও এমন। অনেকে বাধ্য হয়ে তাদের কথামতো কিছু কম দিয়ে কোনোমতে ছাড়া পান। এমন ঘটনা প্রতিদিনই ঘটছে। গতকাল রবিবার দুপুরে শহরের শায়েস্তানগরের বিলাস বহুল মুন ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে ভোক্তার সহকারি পরিচালকের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালায়। এ সময় মুন মেডিসিন কর্নারকে মেয়াদোত্তীর্ণ ও অতিরিক্ত দামসহ বিভিন্ন অভিযোগে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ইতোপূর্বেও ওই হাসপাতাল থেকে ভুয়া ডাক্তারকে জেল জরিমানা করা হয়। মোবাইল কোর্টকে সহযোগিতা করে সদর থানার একদল পুলিশ।


     এই বিভাগের আরো খবর